প্রকাশিত: Sat, Jun 8, 2024 2:55 PM
আপডেট: Tue, Apr 29, 2025 11:50 PM

নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইড়ু কিং মেকার

শিহাব আহমেদ শাহীন

এনডিএ বা ইন্ডিয়া যে জোটই সরকার গঠন করুক, মধ্যবর্তী নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে গঠিত হবে একটি ঝুলন্ত পার্লামেন্ট। ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী জোট হিসেবে এনডিএর দখলে গেছে ২৯২টি আসন এবং বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়ার’ দখলে গেছে ২৩২টি আসন। এ ছাড়া অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মিলে পেয়েছে ১৭টি আসন। তবে দল হিসেবে এককভাবে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে বিজেপি। দলটির দখলে গেছে ২৪০টি আসন। কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া পেয়েছে ২৩২টি আসন। এই ২৩২আসনের মধ্যে কংগ্রেস এককভাবে পেয়েছে ৯৯টি আসন। জোট শরিক উত্তর প্রদেশের সমাজবাদী পার্টি পেয়েছে ৩৬টি, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ২৯ টি, দ্রাবিড়া মুনেত্রা কাজাগাম পেয়েছে ২২টি আসন। এর বাইরে শিব সেনা (উদ্ধব ঠাকরে) পেয়েছে ৯টি আসন। শারদ পাওয়ারের ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি পেয়েছে ৮টি আসন।

এই অবস্থায়ও কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট ইন্ডিয়ার পক্ষে জোট সরকার গঠনের সম্ভাবনা আছে যদি বিহারের জনতা দল (ইউনাইটেড) ও অন্ধ্রের তেলেগু দেশাম পার্টিকে জোটটি নিজেদের পক্ষপুটে আনতে পারে। বাস্তবে এ দুটি দলই মূলত ‘কিং মেকারের’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। এ দুটি দল ছাড়া খোদ বিজেপিও একা সরকার গঠন করতে পারবে না। নীতীশ কুমারের জেডিইউ এবং চন্দ্রবাবু নাইড়ুর টিডিপির মোট আসনসংখ্যা ২৮। সে ক্ষেত্রে এ দুটি দল বিজেপির এনডিএ জোট থেকে বের হয়ে এলে জোটের আসনসংখ্যা হবে ২৬৭, যা সরকার গঠনের চেয়ে মাত্র ৫টি আসন কম। বিপরীতে এই দুটি দল ইন্ডিয়া জোটে যোগ দিলেও তাদের আসন হবে ২৫৯। তার পরও আরও ১৩টি আসন বাকি থাকবে সরকার গঠনের জন্য। এ ক্ষেত্রে বাকি যে দলগুলো বা স্বতন্ত্র (১৭টি) প্রার্থীরা আছেন, তাঁরা ইন্ডিয়া জোটে যোগ দিলে তাদের জন্য সরকার গঠন সম্ভব হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ইন্ডিয়া জোটের আসন হবে ২৭৬টি। তবে যেই সরকার গঠন করুক না কেন, ভারতের আগামী লোকসভা একটি ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হতে যাচ্ছে। ফেসবুক থেকে